আমরা কী বাঙালি বলেই এইসব আমাদের দ্বারাই সম্ভব হয়। হ্যাঁ আমি বাঙালির ইতিহাস সম্পর্কে কিচ্ছু ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিকের কোথা বলতে চাচ্ছি। এটা মনে হয়, আজ ও ছেলে হারানোর হাহাকার দূর হয়নি ঘটনা ১৯৫২ সালের সেই ভাষা আন্দোলনের। পৃথিবীতে আর কোন আত্তিকে তার মাযের ভাবাকে রক্ষার জন্য লড়াই করতে হযেছে বলে আমাদের কারই আনা নেই। কিংবা ভবিষ্যতেও এমন নজির বিহীন ঘটনা ঘটবেও বলে ধারনাও করা যায় না। আমরা পৃথিবীর বুকে এক বিরল আর ব্যতিক্রম ধর্মি জাতি। আর আমরা শিখিযেদি কিভাবে মায়ের ভাষাকে আগলে রাখতে হয় প্রযোজনে তাজা রক্তের বিনিময় করে। ভাবার জন্য যারা ভাজা রক্তকে ব্যবহার করে গেছে তাঁদের শ্রদ্ধা আর স্মরণে এক অভ্যন্ত স্মৃতি সম্ভারক হল শহিদ মিনার।
আমাদের কী এই ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা আর সম্মান প্রদর্শন প্রয়োজন কি-না? আর এই সম্মান যদি করতেই হয় তাহলে কী শুধুই সেটা ২১শে ফেব্রুয়ারিতেই সীমা বদ্ধ থাকা উচিৎ? অবশ্যই না আর আজ কাল কার ছেলে মেয়ের হাতে হাতে স্মার্ট ফোন আর তাতে ফেসবুক, মেসেজার নেই এমন ফোন খুঁজে পাওয়া মুশকিল নয় অসম্ভব। যে জাতিই বাংলার জন্য তাঁদের সন্তান্দের হারিযেছে আবার সে জাতিরই কিছু বাংলা বিদ্বেষী আর অরুচি বাংলা বলে আম ধিক্কার করে। যে বলছি আমরা যেহেতু বাঙালি আতি মেহেতু অবশ্যই আমরা আমাদের ভাষার ব্যাবহারে অবশ্যই সচেতন হব কখনই কোন কোনো খানে অজাজিত বাংলা ভাষা ব্যবহার করবনা। করবনা মেসেজিং এর নামে ইংরেজি অঙ্কর গুলোকে বাংলার সংক্ষিপ্ত ব্যাবহার। যদি ইংরেজির ব্যাবহার করতেই হয় তাহলে অবশ্যই English grammar ভালো করে শিখে তারপর পাকাপড় ব্যাবহার। তাহলেই সেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সুফল আমরা সকলেই উপভোগ করতে পারবো। নয়তো বা আবার সেই কালের বিবর্তনে এই বাংলা আবার আমাদের থেকে হারিয়ে যাবে।
এবার ভাষা শহিদের প্রতি স্মারক সম্মান প্রদর্শন করার যে স্থানে যে দণ্ডায়মান স্তম্ভ পরিলক্ষিত হয় অবশ্যই সেটা শহিদ মিনার। শহিদের স্মরনের জন্য তৈরি করা হয়েছিল কিংবা এখন তৈরি করা হয় অজাজিত ভাবে এবং তার মূল্য একেবারেই কমিয়ে আনা হচ্ছে। আসলে এই শহিদ মিনার গুলো শুধু দৃশ্যমানই হচ্ছে, মানুষের মনের আবেগকে আলুত করছে না। ইতিবাচক ইতিহাসের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আর এখান থেকেই বেশকিছু প্রশ্ন, হয়ত আমার মতো কিছু অসেচেতন মানুষের মাখাতেই ঘুর পাক খায়। আচ্ছা আপনারা কী কোন ২১শে ফেব্রুযারিতে শহিদ মিনারে ফুল দেওয়ার উদ্দ্যেশে গিয়েছেন কী? আর যদি গিয়ে থাকেন তাহলে কী সেদিন আপনার পায়ে জুতো জোড়া ছিল? সেদিন সেই জুতো জোড়া নাই ছিল তাহলে কেন দিল না? ফেব্রুয়ারির পরে যখন অন্য কোন মাসের অন্য কোন দিনের চিত্র লক্ষ্য করা যায় তাহলে অবশ্যি সেই,২১শে ফেব্রুয়ারির চিত্র এর বিরুস চিএ পরিলক্ষিত।
আমার স্বচোখে দেখা,
২১শে ফেব্রুয়ারি এলে শুপ্রভাতে শহিদ মিনারে তুমি,
থাকেনা পায়ে তোমার জুতা
বিদায় হলে শহিদ দিবস,
দেখা যায় না তোমায় শহিদ মিনারে,
যদি দেখা মিলে কভু একটি বার,
এসেছ তবে সেলফি নিবার দোরে,
হাজার, কমেন্ট, শেয়ার...।
যে লোক ২১শে ফেব্রুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই ভাষা শহিদের নিয়ে পাগল হয়ে যায়। ব্যস্ত হয়ে পরে শ্রদ্ধা আর সম্মানে জুতা ছাড়া খালি পায়ে হাজির সেই সুপ্রভাতের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে। মানুষকে গ্যায়ান দিতে ব্যস্ত,যদি কেউ বা ভুলে উঠে বসে জুতা পরে এই মিনারে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখলে দেখা যায় ঐ ভদ্র লোক আবার নিজেই অন্য দিন জুতা পায়ে উঠে আনন্দ আহ্লাদে ছবি তুলছে। আমার মনে হয় এটা আমাদের মতো বাঙ্গালিদের দ্বারাই সম্ভব। তাহলে কি দরকার ছিল মহাশয় ঐ একটি দিন খালি পায়ে শহিদ মিনারে ওঠা। আমার মনে হয় ঐ একটা দিন ও জুতো পায়ে উঠনে হয় তো বা তেমন কিছু সমস্যা হতো না।
যদি শহিদের শ্রদ্ধা করতেই হয় তাহলে ঐ একটি দিন মানুষ দেখানোর উদ্দ্যেশে না করে নিজের মন থেকে
প্রতিটি ক্ষণ তাঁদের স্মরণ করুন। সম্মান প্রদর্শন করুন নিজ ভাষা বাংলাকে ভালবাসুন এবং মহান সৃষ্টিকর্তার কাছ সারবখনিক প্রাখনা জপেন যেনও এই বাংলা ভাষা আর বাংলাদেশ অটল আর স্থায়িত্ব লাভ করে। শহিদের স্বপ্ন পূন হয় এবং তারা যেনও পরলোকগমনে সুখে শান্তিতে থাকতে পারে কামনা করুন।
লেখক: আবির হাসান অন্তর
শিক্ষার্থী, ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ, দিনাজপুর।

Post a Comment